কেউ একবার জিততে শুরু করলে সে জিততেই থাকে! এটা কোন ভাগ্য না, একে বলা হয় Psychological Winner Effect এবং চাইলেই আপনার ব্রেইনের এই মোডটা অন করতে পারেন। ১৪টি Steps👇


১। Master the Skill of Reframing (রিফ্রেম করা শিখুন)!

একই ঘটনা আপনাকে শেষ করে দিতে পারে আবার মোটিভেটও করতে পারে, নির্ভর করে আপনি কোন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখছেন।

যেমন: আমেরিকাতে ৫০ হাজার ডলারের চাকরি পাওয়া কারোর কাছে ফেইলিয়র মনে হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের একজন সাধারণ ছেলের কাছে সেটাই লাইফ চেঞ্জিং সাকসেস।

যখন কোনো ছোট জয় পাবেন, সেটাকে জুম-ইন করে বড় করে দেখুন। আর যখন কোনো সমস্যায় পড়বেন, জুম-আউট করে ভাবুন এটা আসলে কত তুচ্ছ।

নিজের কাছে এই প্রশ্নটা করুন (Mental Prompt):

"What exactly is great about this situation, and how can I use it to my advantage right now?"



২। ২৪ ঘণ্টার জন্য Delusional Positivity চ্যালেঞ্জ নিন!

আগামী ২৪ ঘণ্টা ধরে নিন যা কিছুই ঘটছে, সব আপনার ভালোর জন্যই হচ্ছে।

যদি খারাপ কিছু ঘটে, নিজেকে ফোর্স করুন এটা বলতে: "Perfect — this is exactly what I needed!" এবং সাথে সাথে একটা কারণ খুঁজে বের করুন কেন এটা ভালো হলো। আপনার হাতে ৫ মিনিট থাকবে যেকোনো নেগেটিভ সিচুয়েশনকে রিফ্রেম করার জন্য।

এটা ব্রেইনকে অটোমেটিক্যালি পজিটিভ দিক খুঁজতে ট্রেইন করে।


৩। Looking Down টেকনিক ব্যবহার করুন (নিচের দিকে তাকান)!

সবসময় ওপরের দিকে তাকিয়ে আফসোস করবেন না। ভাবুন আপনি অলরেডি ৯৮% ভালো পজিশনে আছেন।

একশ বছর আগের রাজাদের চেয়েও ভালো লাইফ লিড করছেন আপনি।

আপনার যা নেই তার দিকে না তাকিয়ে, আপনার চেয়ে খারাপ অবস্থায় যারা আছে তাদের কথা ভাবুন। Gratitude আপনাকে ইনস্ট্যান্টলি ভালো ফিল দেবে।




৪। Focus on the Gain, Not the Gap!


আমরা সবসময় নিজেদের আইডিয়াল অবস্থার সাথে তুলনা করি, এটাকে বলে "Gap", যা আমাদের হতাশ করে।

এর বদলে তুলনা করুন আপনার অতীতের সাথে, দেখুন কতদূর এগিয়ে এসেছেন। এটাকে বলে "Gain"।

সবসময় নিজের প্রোগ্রেস দেখুন, পারফেকশন নয়।


নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: "How far have I come from where I started 6 months ago?"



৫। নিজের ছোট ছোট জয়গুলো কাউন্ট করুন!


একটা খাতা নিন এবং জীবনে যা যা ছোট-বড় অ্যাচিভ করেছেন, তার একটা লিস্ট করুন (অন্তত ১০০টা!)। আপনি অবাক হবেন নিজেকে নিয়ে।

প্রতিদিন সকালে ৩টি পুরনো উইন এবং রাতে ঘুমানোর আগে সারাদিনের ৩টি নতুন উইন লিখুন।

ব্রেইন তখন অটোমেটিক্যালি উইনিং অপরচুনিটি খুঁজতে শুরু করবে।



৬। উইনারদের মতো সেলিব্রেট করুন!


যখন জিতবেন, অবাক হবেন না।

উইনাররা জেতার পর অবাক হয় না, তারা মনে করে এটাই তো হওয়ার ছিল। নিজেকে বলুন: "Of course I succeeded. This is who I am."

এর মানে এই না যে আপনি কৃতজ্ঞ থাকবেন না, এর মানে হলো জেতাটাকে আপনি নিজের আইডেন্টিটির অংশ বানিয়ে নিচ্ছেন।


৭। Positive Worry ব্যবহার করুন!


যদি আপনার অতিরিক্ত চিন্তা করার অভ্যাস থাকে, তবে সেটাকে উল্টে দিন। শুধু কী খারাপ হতে পারে সেটা না ভেবে, ভাবুন কী দারুণ হতে পারে!


"যদি আমি ফেইল করি?"-এর জায়গায় ভাবুন "যদি এটা আমার ভাবনার চেয়েও বেশি সাকসেসফুল হয়?" আপনার ব্রেইন রিয়েল আর ইমাজিনেশনের পার্থক্য বোঝে না, তাই সে পজিটিভ কেমিক্যাল রিলিজ করবে।


৮। দিনের শুরুতেই Early Wins নিশ্চিত করুন!


মোমেন্টাম খুবই জরুরি। দিনের শুরুতে এমন কিছু কাজ করুন যা সহজেই জেতা যায়।


যেমন: সকালে উঠেই বিছানা গোছানো, ওয়ার্কআউট করা বা ঠান্ডা পানিতে গোসল। কোনো প্রজেক্ট শুরু করলে সবচেয়ে সহজ কাজটা আগে করুন।


ছোট জয় আপনাকে বড় জয়ের কনফিডেন্স দেবে।


৯। ছোট ছোট গোল সেট করুন!


আমরা এক বছরে অনেক কিছু করতে চাই, কিন্তু ১০ বছরে কী করতে পারি তা আন্ডারএস্টিমেট করি।


দ্রুত মোমেন্টাম পেতে হলে লং টার্মে বড় গোল রাখুন, কিন্তু শর্ট টার্মে একদম ছোট ছোট গোল সেট করুন যা সহজেই পূরণ করা যায়।


১০। নিজের Strengths বা শক্তির জায়গায় ফোকাস করুন!


সারাদিন যদি এমন কাজ করেন যেখানে আপনি দুর্বল, তাহলে কনফিডেন্স কমে যাবে।


খুঁজে বের করুন আপনার "Zone of Genius" বা কোন কাজে আপনি ন্যাচারালি ভালো।


সেই কাজে বেশি সময় দিন। সহজ জয় আসবে।


১১। ফলাফল নয়, চেষ্টাকে রিওয়ার্ড দিন!


শুধু রেজাল্ট ভালো হলে খুশি হবেন না। রেজাল্ট আপনার হাতে নেই, চেষ্টাটা আছে। চেষ্টার জন্য নিজেকে বাহবা দিন।


এতে আপনার সেলফ-ওয়ার্থ ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে না। আপনি হারলেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারবেন।


১২। ভিজ্যুয়ালাইজেশন (Visualization) ব্যবহার করুন!


বড় জয়ের জন্য অপেক্ষা করা কঠিন হতে পারে। তাই আগেই ব্রেইনকে সেই জয়ের স্বাদ দিন।


চোখ বন্ধ করে নিজেকে দেখুন যে আপনি কাজটা করছেন এবং সফল হচ্ছেন। ওই মোমেন্টাম এবং ফিলিংসটা অনুভব করুন। অলিম্পিক অ্যাথলেটরা এই টেকনিক ব্যবহার করে।


১৩। নিজের দেওয়া কথা রাখুন (Build Trust in Yourself)!


আপনি নিজেকে দেওয়া কথা কতবার রাখেন?


প্রতিদিন যখন আপনি নিজের টু-ডু লিস্ট কমপ্লিট করেন না, আপনি নিজের কাছে ছোট হয়ে যান।


নিজের ওপর বিশ্বাস ফেরাতে ছোট ছোট প্রমিস করুন এবং যেভাবেই হোক তা রক্ষা করুন।


১৪। মানুষকে শেখান আপনাকে উইনার হিসেবে ট্রিট করতে!


আপনি নিজেকে যেভাবে ট্রিট করবেন, অন্যরাও আপনাকে সেভাবেই দেখবে। এমন মানুষের সাথে মিশুন যারা আপনার ওপর হাই এক্সপেক্টেশন রাখে এবং আপনাকে উইনার হিসেবে ট্রিট করে।


যারা আপনাকে ছোট করে দেখে, তাদের এড়িয়ে চলুন। আপনার এনভায়রনমেন্ট আপনাকে উইনার ফিল করতে সাহায্য করবে।


Source: The Winner Effect Book by Ian Robertson






চাকরির বাজার আর আগের মতো নেই। গতানুগতিক স্কিল দিয়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভাবছেন, নতুন কী শিখবেন যা আপনার ইনকামের রাস্তাকে পুরোপুরি বদলে দিতে পারে?


উত্তরটা হলো AI।


আর এর জন্য আপনার কোনো টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড বা ডিগ্রি লাগবে না। শুধু আপনার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপই যথেষ্ট।


জয়েন করুন এখনি - https://aiinbangla.com/courses/ai-champions 


Comments

Popular posts from this blog